অভিমান মানুষ অনেক কষ্ট থেকে করে। প্রেমের কবি হেলাল হাফিজ এর অভিমান থাকে আর বিয়ে করে নি।
কিশোর হেলাল হাফিজ প্রেম করতেন হেলেন নামে এক কিশোরী সাথে। নেত্রকোনায় তারা প্রতিবেশী ছিলেন!
দারোগার মেয়ের সাথে স্কুল শিক্ষকের ছেলের প্রেম মেনে নেননি দারোগা বাবু। মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেন এক সিনেমা হলের মালিকের সাথে ঢাকায়।
হেলাল হাফিজও চলেন আসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে।
তার এক মাত্র কবিতার বই বের হয়। নাম "যে জলে আগুন জ্বলে!"
হেলেনের স্বামী বইমেলা থেকে বইটি কিনে হেলেন কে উপহার দেন। হেলেন দেখেন পুরো কবিতার বই জুড়ে কবির আকুতি। তাকে না পাওয়ার।
হেলেন সে কবিতার বই পড়ার পর মানসিকভাবে আঘাত পেয়ে আস্তে আস্তে পাগল হয়ে যান। স্বামী তাকে তালাক দেয়।
নেত্রকোনায় বাবার বাড়ি ফিরে যান হেলেন। তাকে শেকল দিয়ে ঘরে বেধে রাখতে হয়।
হেলাল হাফিজ নিজেকে কখনো ক্ষমা করতে পারেননি। কিংবা সে প্রেম থেকে বের হতে পারেননি।
তাই আর কখনো বিয়ে করেননি।
খুব গুছিয়ে থাকতেন। গোছালো মানুষ ছিলেন। তাকে দেখে বুঝা যেতো না, ভেতরে ভেতরে তার ভেতর এতোটা ভাঙ্গন।
পরপারে ভালো থাকুন প্রিয় কবি । আপনার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
'ইন্নালিল্লাহ হিওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন'
আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন আপনাকে জান্নাতে উচ্চ স্থান দান করুন।
সংগৃহীত
আরও পড়ুন:
ভারত কেন মরিয়া হয়ে উঠেছে? ড. ইউনূস যেভাবে ভারতকে চাপে ফেলে দিচ্ছে।
কম খরচে বিমানের টিকিট কাটার ৫ কৌশল জানুন
0 Comments