ভারত কেন মরিয়া হয়ে উঠেছে? ড. ইউনূস যেভাবে ভারতকে চাপে ফেলে দিচ্ছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ নিয়ে একের পর এক ইস্যু নিয়ে ভারত ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে যা পাওয়া যাচ্ছে তা হল ড. ইউনূস বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কে জাপানের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর এর অনুমোদন দিয়েছে। এতে বাংলাদেশ এখন জাপান থেকে সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় করতে পারবে।
জাপান হাসিনা সরকারের আমলে অনেক চেষ্টা করেছে বাংলাদেশে সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানি করতে কিন্তু বাংলাদেশের সাথে জাপানের প্রতিরক্ষা চুক্তি না থাকায় তা পারেনি। আর হাসিনা সরকারকে ভারত কখনো সে সুযোগ দেয় নি যে হাসিনা সরকার জাপানের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি করবে।
এখন যখন ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকার জাপানের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে তাই ভারতের টেনশনের শেষ নাই এর কারণে ভারত একের পর এক বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে মাথাব্যথা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে।
জাপানের সংবিধান অনুযায়ী দেশটি পূর্বে সমরাস্ত্র রপ্তানি করত না সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সংবিধান পরিবর্তন করেছে কারণ পৃথিবীতে আধিপত্য বিস্তার করতে এর কোন বিকল্প ছিল না। ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সমরাস্ত্র রপ্তানির প্রস্তাব দিচ্ছে জাপানের সমরাস্ত্র উৎপাদন প্রতিষ্ঠান গুলো।
এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে কারণ চীনের আধিপত্য মোকাবেলায় জাপান পাল্টা পদক্ষেপ নিচ্ছে । চীন ও জাপানের এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সেক্টর প্রবল লাভবান হবে। ২০২৩ সালে জাপানের পক্ষ থেকে আওয়ামীলীগ সরকারের কাছে সামরিক চুক্তির প্রস্তাব আসলে তা আওয়ামীলীগ সরকার ভারতের চাপে করতে পারেনি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংশোধন করে নতুন প্রস্তাব পাঠিয়েছে দেশটি । সে প্রস্তাব কে বাংলাদেশ সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনী অনুমোদন দিয়েছে পাশাপাশি পররাষ্ট্র , জননিরাপত্তা বিভাগ ও অনুমোদন দিয়েছে । পরবর্তী ড . ইউনূস ও অনুমোদন দিয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই চুক্তির পর বেশ কিছু সামরিক সরঞ্জাম জাপান থেকে কিনবে। বাংলাদেশে চাহিদা রয়েছে এমন সকল সমরাস্ত্র উৎপাদন করে জাপান।
এ দিকে বাংলাদেশ নৌবাহিনী সাবমেরিন ক্রয় করার পরিকল্পনা চলছে। এ ক্ষেত্রে বিশ্বের অনেক দেশ চাইবে তাদের সাবমেরিন বিক্রি করতে সে প্রতিযোগিতায় জাপান হয়ত সকল দেশ কে ওভারটেক করে বাংলাদেশ কে সাবমেরিন বিক্রি করবেন। এরকম সাবমেরিন ক্রয় করতে অনেক আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে তা সামাল দেওয়া বাংলাদেশের পক্ষে জটিল। জাপান থেকে সাবমেরিন ক্রয় করলে তেমন চাপ থাকবে না কারণ জাপানের সাথে আমেরিকা ও ইউরোপের ভালো সম্পর্ক রয়েছে।
আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত তারা কথায় না তারা অস্ত্রে বিশ্বাসী । ভারতের যে ফাইটার জেট আছে তা আমাদের দেশে আক্রমণ করা কোন ব্যাপার না। আর আক্রমণ ঠেকানোরমত যুদ্ধ বিমান বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর নায়।
এ দিকে ফ্রান্সের ম্যাক্রন সরাসরি বাংলাদেশ এসেছিল রাফায়েল বিমান বিক্রি চুক্তি করার জন্য বিগত হাসিনা সরকার এর সাথে। ম্যাক্রণ ও ব্যর্ত হয়ে ফিরে গেছে। হাসিনা সরকার ভারতের চাপে রাফায়েল চুক্তি করতে পারেনি। আর এখন অন্তর্বর্তী সরকারকে নিশ্চয় রাফায়েল চুক্তি করার প্রস্তাব দিবেন ফ্রান্স।
ইউনূস সরকার জাপানের সাথে প্রতিরক্ষা চুক্তি অনুমোদন এর খবর শুনে ভারত অস্থির হয়ে পড়ছে। আর তাই বর্তমানে বাংলাদেশের মধ্যে যে কোন ইস্যু তৈরি করে একটা ঝামেলা তৈরি করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে ভারত জাপান থেকে সমরাস্ত্রের চালান না আসার আগে।
তবে যদি দুই একটা সমরাস্ত্র চালান চলে আসলে ভারতের সূর পাল্টে যাবে কারণ তারা অস্ত্রে বিশ্বাসী কথায় নয় ।
0 Comments