পৃথিবী কাঁপানো ছবির কাহিনী পড়ুন ও জানুন
এই সেই পৃথিবী কাঁপানো আলোকচিত্র যা তোলার পর ফটোগ্রাফার নিজেই আত্মহত্যা করেছিলেন! ছবিতে একটি শকুন বসে আছে কঙ্কালসার এক শিশুর মৃত্যুর অপেক্ষায়, যেন মারা গেলেই সে ঝাঁপিয়ে পড়বে লক্ষ্যবস্তুর উপর! ছবিটি তুলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ফটোগ্রাফার কেভিন কার্টার।
১৯৯৩ সালের মার্চ মাস। দুর্ভিক্ষ পীড়িত সুদান। কোথাও একফোঁটা দানা নেই। ক্ষুধার যন্ত্রণায় কাতর শিশুটি এক মুঠো খাবারের সন্ধানে আয়োদ শহর থেকে আধা মাইল দূরে জাতিসংঘের খাদ্য গুদামের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। এক পর্যায়ে সে তার মৃতপ্রায় নিথর দেহটি নিয়ে উবু হয়ে মাটিতে মাথা রেখে বসে পড়ে। ঠিক তখন পাশ থেকে একটা শকুন লোলুপ দৃষ্টি হেনে শিশুটির মাংস ভক্ষণ করার জন্য প্রতীক্ষা করতে থাকে।
ফ্রিল্যান্সিং CPM মার্কেটিং কোর্সে অল্প সময়ে আয় করুন
এই ছবি The New York Times প্রকাশিত হলে বিশ্বজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ১৯৯৪ সালে সেরা ফিচার ফটোগ্রাফির জন্য পুলিৎজার পুরস্কার জিতে নেয় ছবিটি। কিন্তু ফটোগ্রাফার কেভিন কার্টার পুরস্কার জেতার ৪ মাসের মাথায় মাত্র ৩৩ বছর বয়সে আত্মহত্যা করে বসেন। পরে জানা যায় ছবিটি তোলার পর থেকেই তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন! মৃত্যুর আগে ছবিটির বিষয়ে কেভিন কার্টার তার ডায়রিতে লিখেছিলেন :
"হে পরম করুণাময়, আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি খাবার তা সে যত খারাপ স্বাদেরই হোক না কেন আমি সেটা নষ্ট করব না, এমনকি আমার পেটে ক্ষুধা না থাকলেও না! আমি প্রার্থনা করি, আমরা চারপাশের পৃথিবীর প্রতি আরো সংবেদনশীল হব এবং আমরা আমাদের ভেতরের স্বার্থপরতা এবং সংকীর্ণতা দ্বারা অন্ধ হয়ে যাব না। আমি আরো প্রার্থনা করি, তুমি ওই ছোট্ট ছেলেটিকে রক্ষা করবে, পথ দেখাবে আর ওকে ওর দুঃখ থেকে মুক্তি দেবে। এই ছবি যেন মানুষকে মনে করিয়ে দেয় ওই শিশুটির তুলনায় তারা কতটা ভাগ্যবান, কারণ তোমার করুণা ছাড়া কারো ভাগ্যে একটি দানাও জোটে না। বিদায়!"
আরও পড়ুন:
নখের ইনফেকশন থেকে রক্ষা পেতে জেনে রাখুন কি করতে হবে
রাতে ভালো ঘুমের জন্য উপকারী যেসব খাবার
এমন কিছু কৌশল বলবেন কি যা সারা জীবন কাজে লাগবে?
0 Comments