Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

আপনার অজান্তে পেটে পাথর জমছে জানুন লক্ষন ও প্রতিরোধ

 আপনার অজান্তে পেটে পাথর জমছে জানুন লক্ষন ও প্রতিরোধ



পিত্তথলি শরীরের লিভারের নিচে থাকা একটা ছোট্ট থলি। এটি লিভারের তৈরি পিত্ত রস জমা করে রাখে। এই পিত্ত রস আমাদের হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে, বিশেষ করে চর্বিযুক্ত খাবার হজম করতে। কিন্তু কোনো কারণে এই পিত্ত রস জমে কঠিন আকার ধারণ করলে পাথর সৃষ্টি হয়।


একে গল ব্লাডার বা পিত্তথলির পাথর বলে।

পাথর হওয়ার কারণ

পিত্ত রসে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল থাকলে এটি জমে গিয়ে পাথর তৈরি করতে পারে। আবার যদি কোনো কারণে পিত্ত রস ঠিকভাবে প্রবাহিত না হয়, তাহলে এটি জমে গিয়ে পাথর হতে পারে।

লিভারের রক্তে বিলিরুবিন নামক পদার্থ থাকে।


বিভিন্ন কারণে এটি বেড়ে গেলে পিত্ত রসে বিলিরুবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা পাথরের সৃষ্টি করতে পারে। যেসব খাবারে বেশি চর্বি থাকে, তা হজম করতে বেশি পরিমাণ পিত্ত রসের প্রয়োজন হয়। ফলে এই রস বেশি জমে পাথরের কারণ হতে পারে।

নিয়মিত ব্যায়াম না করা, অতিরিক্ত ওজন এবং ফাস্টফুড খাওয়ার অভ্যাসও পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।

লক্ষণ

যে নিয়মে পূণরায় বিকাশ এ্যাপ্স ইন্সটল করলে পাবেন ২০০০ টাকা বোনাস

তীব্র পেটে ব্যথা, বিশেষ করে ডান দিকের উপরিভাগে

পেটে ফোলাভাব এবং গ্যাস

বমি ভাব বা বমি হওয়া

পিঠে ব্যথা, বিশেষ করে ডান কাঁধের নিচে

ত্বকের হলুদ ভাব এবং চোখের সাদা অংশে হলদে ভাব।

প্রতিরোধের উপায়

সুষম খাদ্যাভ্যাস : চর্বিজাতীয় খাবার কম খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং ফল, সবজি এবং আঁশযুক্ত খাবার বেশি খান। বিশেষ করে, ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড যুক্ত খাবার খেলে পিত্ত রস সহজে গলিত হয়।


ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা : অতিরিক্ত ওজন হলে পিত্তথলিতে পাথরের ঝুঁকি বাড়ে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মেনে চলুন।


নিয়মিত পানি পান : পর্যাপ্ত পানি পান করলে শরীরের বিভিন্ন অংশের রসের প্রবাহ সঠিক থাকে, ফলে পিত্ত রস জমাট বাঁধে না।


খাবারের পরিমাণ সীমিত করুন : একবারে বেশি খাবার না খেয়ে অল্প করে বারবার খান। এতে পিত্ত রসের সঠিক প্রবাহ বজায় থাকে এবং পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে।

নিয়মিত ব্যায়াম : নিয়মিত শরীরচর্চা করলে শরীরের মেটাবলিজম বাড়ে, যা পিত্তথলির পাথর প্রতিরোধে সাহায্য করে।


মদ্যপান এবং ধূমপান পরিহার করুন : এই অভ্যাসগুলো পিত্তথলির পাথর তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারে, তাই এগুলো পরিহার করুন।

চিকিৎসা পদ্ধতি

যদি পিত্তথলিতে পাথর ধরা পড়ে, তবে চিকিৎসকের পরামর্শে অস্ত্রোপচার বা ওষুধ প্রয়োগ এটি অপসারণ করা যায়। তবে প্রতিরোধের জন্য সচেতন হওয়া সবচেয়ে ভালো উপায়।


সূত্র : ল্যানসেট

নিজকে ধ্বংসের ৩ টি কারণ কি


Post a Comment

0 Comments