Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

মার্কিন চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তানকে কেন ভারতের বিরুদ্ধে F-16 ব্যবহার করতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে

 



মার্কিন চুক্তি অনুযায়ী পাকিস্তানকে কেন ভারতের বিরুদ্ধে F-16 ব্যবহার করতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে??


F-16, পাকিস্তান ও FMS: বিষয়টির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ


1. মার্কিন FMS (Foreign Military Sales) চুক্তি কী?


FMS অর্থাৎ Foreign Military Sales হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সরকারি প্রতিরক্ষা বিক্রয় প্রক্রিয়া, যেখানে তারা অন্য দেশে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রি করে, কিন্তু কড়া শর্তে।

এই বিক্রির নিয়ন্ত্রণ করে US State Department এবং Defense Security Cooperation Agency (DSCA)।

শর্ত থাকে: বিক্রিত অস্ত্র বা প্রযুক্তি কী কাজে ব্যবহার করা যাবে।

বিশেষ উদ্দেশ্যে সীমাবদ্ধতা: অনেক সময় বলা থাকে, এই প্রযুক্তি “defensive purposes only”, অর্থাৎ আত্মরক্ষা ছাড়া তা ব্যবহার করা যাবে না।


2. পাকিস্তান ও F-16 চুক্তির প্রেক্ষাপট:

পাকিস্তান ১৯৮০-এর দশক থেকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে F-16 ফাইটার জেট কিনছে। তবে প্রতিটি বিক্রির সাথে যুক্তরাষ্ট্র কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত যুক্ত করেছে। যেমন:

 • F-16 শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদ দমন ও প্রতিরক্ষামূলক কাজে ব্যবহার করা যাবে।

 • ভারতের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক (offensive) কাজে ব্যবহার করা যাবে না।

 • যুক্তরাষ্ট্র নিয়মিত ব্যবহার মনিটর করবে।


২০১৯ সালে বালাকোট ঘটনার সময়, পাকিস্তান ভারতের বিরুদ্ধে F-16 ব্যবহার করেছিল। এর ফলে মার্কিন কংগ্রেসে প্রশ্ন উঠেছিল— পাকিস্তান কি FMS চুক্তি লঙ্ঘন করেছে?



3. যুক্তরাষ্ট্র এমন শর্ত দিল কেন?


যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য মূলত দুইটি:


(ক) অঞ্চলীয় ভারসাম্য (Regional Stability):

 • যুক্তরাষ্ট্র চায় না যে পাকিস্তান তার অস্ত্র ভারতে আক্রমণের জন্য ব্যবহার করুক, যা দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধ বাধাতে পারে।


(খ) নিজস্ব ভাবমূর্তি রক্ষা ও রাজনৈতিক দায়:

 • মার্কিন সেনেট ও কংগ্রেসে তাদেরকে ব্যাখ্যা দিতে হয়— তারা যে দেশকে অস্ত্র দিল, তা যেন মানবাধিকার লঙ্ঘন বা যুদ্ধ উসকে না দেয়।

 • মার্কিন অস্ত্র যদি ‘আক্রমণের হাতিয়ার’ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তাহলে তাদের আন্তর্জাতিক নীতির বিরুদ্ধে যায়।



4. তাহলে পাকিস্তান কীভাবে ব্যবহার করে?

 • পাকিস্তান সবসময় বলে থাকে: তারা F-16 ব্যবহার করেছে “self-defence” (আত্মরক্ষা) হিসেবে, কোনো Offense নয়।

 • কিন্তু ভারতের মতে, তারা ২০১৯-এ আক্রমণাত্মকভাবে ব্যবহার করেছে।


এইসব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কঠোর ব্যবস্থা নেয়নি, তবে কূটনৈতিকভাবে চাপে রেখেছে এবং নজরদারি জোরদার করেছে।



5. ভারতের উদ্বেগ:


ভারত বারবার যুক্তরাষ্ট্রকে বলেছে যে:

 • পাকিস্তান মার্কিন প্রযুক্তি অপব্যবহার করছে।

 • তারা এই শর্ত লঙ্ঘন করছে।


এ কারণে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের কাছে চাপ দিয়েছে যেন F-16 আপগ্রেড বা নতুন সরঞ্জাম না দেয়।



6. সর্বশেষ পরিস্থিতি:

 • ২০২২ সালে, যুক্তরাষ্ট্র আবার পাকিস্তানের F-16 রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তিতে $450 মিলিয়ন অনুমোদন দেয়, যা ভারত সমর্থন করেনি।

 • তবে যুক্তরাষ্ট্র ব্যাখ্যা দেয়: “This is to ensure Pakistan can maintain its existing fleet for counter-terrorism.”


সংগৃহীত A R 

Post a Comment

0 Comments