Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

কোরআন অনুযায়ী আল্লামা শফিকে ৮০ টি বেত্রাঘাত করা উচিত

 ‘কোরআন অনুযায়ী আল্লামা শফিকে ৮০ টি বেত্রাঘাত করা উচিত’




‘কোরআন অনুযায়ী আল্লামা শফিকে ৮০ টি বেত্রাঘাত করা উচিত’


‘শেখ হাসিনা একজন মোত্তাকি, তিনি ক্ষমতায় থাকলে দেশ বালা মুছিবত থেকে হেফাজত থাকে’

‘সুন্নাত আল জাম’আত আমার আত্মার আত্মীয়’


কোরআনের আয়াত অনুযায়ী হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশ এর আমীর আল্লামা শফিকে ৮০টি বেত্রাঘাত করা উচিত।


শনিবার রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মতবিনিময়ে আহলে সুন্নাত আল জাম’আত নেতারা এ মন্তব্য করেন।


কওমি মাদ্রাসা ও কওমি অনুসারীদের তীব্র সমালোচনা করে মাওলানা জাহান শাহ আবেদীন বলেন, যারা হযরত আলীকে (রা.) হত্যা করেছিলো তারা খারেজি। সেই খারেজিরা নাম পরিবর্তন কওমি হয়েছে। খারেজিরা কওমি ও হেফাজত দুই ভাগে বিভক্ত।


তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, কওমিরা এখন ছোট বোমা বানাচ্ছে। ভবিষ্যতে সনদ পেয়ে চাকরি করতে পারলে তারা বেতনের টাকা দিয়ে বড় বোমা বানাবে। এদের কোনোভাবে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না।


আগামীতে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করতে ১০ আসনে সুন্নাত আল জাম’আতকে নির্বাচন করতে দেওয়ার সুযোগ চেয়ে জাহান শাহ আরও বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের পাশে থাকলে জনগণের চোখে আঙুল দিয়ে বিএনপি-জামায়াত হেফাজতের কর্মকাণ্ড দেখিয়ে দিতে পারব।


মাওলানা সাইফুর রহমানও কওমিদের সমালোচনা করে বলেন, কওমিদের পুষে লাভ নেই। এরা শেষ পর্যন্ত ঠিক থাকবে না। এদের মুখে এক অন্তরে আরেক।


কোরআনের আইন অনুযায়ী আহমদ শফীকে ৮০টি বেত্রাঘাত করা উচিত বলে মন্তব্য করে আহলে সুন্নাত ওয়াল জাম’আত নেতা মাওলানা জিয়াউল হাসান বলেন, কোরআনের আয়াত অনুযায়ী কেউ যদি কোনো নারীর বিরুদ্ধে পাপাচারের অভিযোগ আনেন তবে তাকে চারজন সাক্ষী হাজির করতে হয়। শফী সাহেব বলেছেন গার্মেন্টসের মেয়েরা পাপাচার করে। তিনি কি চারজন সাক্ষী নিয়ে আসতে পারবেন। তিনি তা আনতে পারবেন না। না পারলে কোরআনের আয়াত অনুযায়ী তাকে ৮০টি বেত্রাঘাত দেওয়া উচিত।


মাওলানা সাইয়্যেদ সাইফুদ্দিন আহমেদ আল হাসানী মাইজভান্ডারী বলেন, শফী নারীদের নিয়ে নির্লজ্জভাবে অপবাদ দিয়েছেন, গীবত করেছেন। কোরআনে আছে ‘আল গীবত-এ আসাদ্দু মিনাজ যিনা’ মানে গীবত যিনার চেয়ে ভয়ংকর। তাহলে বুঝেন শফী সাহেব গীবত করে কি করেছেন।


মাওলানা ফরিদ উদ্দিন বলেন, জামায়াত-শিবির, কওমি, হেফাজত একই। ওরা ইসলামের দুশমন।


তিনি বলেন, যারা শেখ মুজিবুর রহমানকে বিশ্বাস করবে না তাদের বাংলাদেশে থাকার অধিকার নেই।


আবু সুফিয়ান আল কাদেরী আল আবেদী বলেন, আমি শফী সাহেবকে পুনরায় ইসলাম গ্রহণ করা আহ্বান জানাচ্ছি।


তিনি বলেন, স্বাধীনতার মূল দল আওয়ামী লীগ। ইসলামের মূল দল আহলে সুন্নাত আল জাম’আত। জামায়াত-শিবির, কওমি, হেফাজত সব একই। এদের মূল শয়তান।


চট্টগ্রাম জমিউয়াতুল ফালাহ মসজিদের খতিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আল কাদেরী বলেন, শেখ হাসিনাকে আমরা ইবাদতে গুজার থাকতে দেখেছি । আমরা সুন্নাত আল জাম’আত দোয়া করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেন বাংলাদেশে সুন্নিয়াত জারি রাখতে পারেন।


এছাড়া মত বিনিময়কালে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত নেতা এম এ মতিন, পেয়ার মোহাম্মদ, আবদুল মতিনসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।


বক্তারা বলেন, জামায়াত-শিবির এবং কওমি, তেঁতুলবাদীদের বিরুদ্ধে সবাইকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।


এসময় মঞ্চে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের, কাজী জাফরউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।


সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শেখ হাসিনা। বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি জামায়াতের অপপ্রচার মোকাবেলা করতে হবে। 


সোর্স: নয়া দিগন্ত ২০১৩ সালের পোস্ট

Post a Comment

0 Comments