Ticker

6/recent/ticker-posts

Ad Code

কোন ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না; কি বলবো; বা কি লিখবো !!!!!

কোন ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না; কি বলবো; বা কি লিখবো !!!!!




একবার চিন্তা করুন ছবির মেয়েটি আপনার বোন/ভাতিজি/ভাগ্নি ও তার পাশে মৃত মানুষটি তাে স্বামী অ-মুসলিম কোন দেশের ঘুরতে গিয়ে শুধু ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে হত্যাকাণ্ডের স্বীকার হয়েছে। 


জাতীয়, অন্বচলিক ও বিশ্ব রাজনীতিতে যখনই মুসলিমরা কোন কিছুটা শক্তি অর্জন করে বিপরীত-ক্রমে যে সময় জাতীয়, অন্বচলিক ও বিশ্ব রাজনীতিতে ইসলামোফোব রািজনিতিবীদরা নিজেদের ক্ষমতা হারানোর সম্মুখীন হয় ঠিক সেই সময় মুসলিমদের শক্তি অর্জন ঠেকাতে কিংবা ইসলামোফোব রািজনিতিবীদদের রাজনৈতিক ক্ষমতা আরও শক্তিশালি করতে তৌহিদী দায়িত্ব পলানে জিহাদি জোসে এগিয়ে আসে মুসলিম জঙ্গিরা একেক দেশে এক এক নামে। দেশের বা জাতীয়তা ভিন্ন হলেও এদেশের সকলের লক্ষ ও উদ্দেশ্য একটাই। ধর্ম হিসাবে ইসলামকে অবমাননা করা ও মুসলিমদের জীবন বিপন্ন করা। 


২০০১ সালে যদি টুইন টাওয়ারে হামলা না হতো এই ২০২৫ সালে বিশ্ব রাজনীতিতে মুসলিমরা ড্রাইভিং সিটে থাকতো বলে মনে করি। বাংলা ভাইরা যদি এক যোগে ৫০০ বোমা বিস্ফোরণ না করতো তবে পলাতক স্বৈরাচার বাংলাদেশের বাংলাদেশে জঙ্গি নাটক সাজিয়ে কয়েক শত মানুষকে খুন করতে পারতো না; ১৭ বছরের ফ্যাসিবাদ চালু করতে পারতো না। পুরো কাশ্মীরের মানুষে জীবন ও অর্থনীতি নির্ভরশীল পর্যটনের উপরে। আজকের এই বর্বর হত্যাকাণ্ডের মূল্য পরিশোধ করবে কাশ্মীর উপত্যকার মানুষদের। আজকের এই ঘটনার পরে কাশ্মীরের মানুষদের উপর সেই একই রাষ্ট্রীয় বর্বরতা নেমে আসবে যেমনটি নেমে এসেছিল বাংলাদেশে। 


অনেকেই বলার চেষ্টা করেন যে বাংলাদেশে এক যোগে ৫০০ বোমা বিস্ফোরণের পিছনে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাত ছিল। কথার কথা ধরে নিলাম ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাত ছিল কিন্তু একই দিনে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার ৫০০ জন অফিসার বাংলাদেশে প্রবেশ করে ৫০০ স্থানে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল নাকি বাংলাদেশেরই ৫০০ জন মানুষ ঐ কাজ করেছিল? 


অনেকেই বলার চেষ্টা করেন যে শায়খ আব্দুর রহমান তো আওয়ামীলীগ নেতা মির্জা আজমের দুলাভাই ছিল। হ্যাঁ, সেটা মিথ্যা না। তবে এটাও মিথ্যে না যে শায়খ আব্দুর রহমান ও বাংলা-ভাই কোন রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ছিল না। কিংবা শায়খ আব্দুর রহমান ও বাংলা-ভাই ছায়ানট নামক কোন প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন নাই কিংবা ফেরদৌসি রহমান খালা-মনির মতো "এসো গান শিখি" এর মত কোন গান শেখার আসর পরিচলানা করে নাই। শায়খ আব্দুর রহমান ও বাংলা-ভাই এর কর্মীরা ছায়ানটের শিক্ষার্থী ছিল না। 


প্রিয় মুসলিম ধর্মের ভাই ও বোনেরা, ধর্ম চর্চার সাথে-সাথে বিজ্ঞান ও গণিত চর্চাটাও চালিয়ে যান। যে মুসলিম বিজ্ঞানীরা এক সময় বিজ্ঞান ও গনিতে বিশ্বে ড্রাইভিং সিটে ছিল সেই মুসলিমরা আজ পুরো বিশ্বে বিজ্ঞান, গণিত ও প্রযুক্তি চর্চায় সকল লিস্টের তলানিতে। আপনাদের কথিত ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা, কিংবা আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা আপনাকে ব্যবহারের সুযোগ পায় আপনাদের নির্বুদ্ধিতার জন্য, আপনাদের মূর্খতার জন্য। কথা-কথায় অন্যদের উপরে দোষ চাপানো বন্ধ করেন। 


কোনটা ইঁদুর মারার বিষের ট্যাবলেট আর কোনটা কাশির ট্যাবলেট এই পার্থক্য আপনারা কেন করতে পারেন না সেই জন্য ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা, কিংবা আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থাকে দায়ী করার পরিবর্তে নিজেদের প্রশ্ন করেন কেন আপনি সেই পার্থক্য করার সামর্থ্য অর্জন করতে পারেন নি? কে আপনাদের বাধা দিয়েছিল স্কুল কিংবা কলেজ জীবনে বিজ্ঞান, গণিত ও প্রযুক্তি শিক্ষা নিতে? 


বিশ্বের সকল মানুষ একই সাথে প্রভু হতে পারবে না। প্রভু হওয়ার জন্য দাসের দরকার। না,আমি ৩০০ বছর পূর্বের শারীরিক দাসত্বের কথা বলছি না। এই একুশ শতকের দাস-প্রভু সম্পর্ক হলও কেই ব্যবহৃত হবে ও কেউ ব্যবহার করবে। এই ব্যবহৃত হওয়া মানুষগুলো হলও ২১ শতকের দাস; ও ব্যবহার করা মানুষগুলো ২১ শতকের প্রভু। 


আমি জানি আপনারা কষ্ট পাবেন; আমাকে গালি দিবেন তার পরেও বলি এই ২১ শতকে মুসলিমরা ঠিক একই ভাবে নিগৃহীত হতে থাকবে ঠিক যেমন করে ১৬০০-১৯০০ সাল পর্যন্ত নিগৃহীত হয়েছে আফ্রিকার কালো মানুষরা। 


প্রিয় মুসলিম ধর্মের ভাই ও বোনেরা, ধর্ম চর্চার সাথে-সাথে যদি ইহুদি-খ্রিষ্টান-বৌদ্ধ-হিন্দু ধর্মের মানুষদের সাথে বিজ্ঞান, গণিত ও প্রযুক্তি চর্চার প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে না পারেন তবে ২১ শতকের দাস হওয়ার জন্য এখন থেকে নিজেদের ছলে-মেয়ে-নাতি-নাতনি সহ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মুসলিম মানুষদের অন্য ধর্মের মানুষদের হাতে ব্যবহৃত হওয়ার পরিণতি বরণ করার জন্য ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা, কিংবা আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থাকে দায়ী করিবেন না। আপনার অনাগত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ঐ পরিণতির জন্য আপনাদের বর্তমান সময়ের নির্বুদ্ধিতাই একমাত্র দায়ী থাকবে। 


বিশেষ দ্রষ্টব্য: 

========

আমি জানি যে এই পোষ্টে শত-শত গালি খাবো তাই প্রথমে ভেবেছিলাম যে এই পোষ্টের মন্তব্যের ঘর বন্ধ করে রাখবো। পরে ভেবে দেখলাম এই পোষ্টটা হতে পারে একটা সুযোগ ভবিষ্যতের দাসদের বাবা-মা-দাদা-দাদিদের চেনার জন্য। তাই মন্তব্যের ঘর খোলা রাখলাম। জিহাদি জোসে ঝাপাইয়া পড়েন গালা-গালি নিয়ে। 

সংগৃহীত ‌:  Click here 



Post a Comment

0 Comments