সরকারকে যে আহ্বান জানালেন ড. মিজানুর রহমান আজহারী
তিনিই আমার প্রিয় রাসূল (ﷺ), যিনি গোটা জীবনটা বিলিয়ে দিয়েছেন মানবতার কল্যাণে। মূর্খতার অন্ধকার থেকে মুক্ত করে, মানব সভ্যতাকে দিয়েছেন প্রকৃত জ্ঞানের সন্ধান। বহু কল্পিত রবের গোলামি থেকে মুক্ত করে, মানুষকে দিয়েছেন এক রবের দাসত্ব করবার আনন্দ। সেই নবিকে নিয়ে অবমাননা! একজন মুসলিমের হৃদয় তা কী করে সইতে পারে। প্রতিটি মুমিন হৃদয়ে আজ ভীষণ রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
দুঃখজনক হলেও সত্য— বছরের পর বছর এই লোকগুলোকেই পাঠ্যবই রচনার মতো এমন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়ে রাখা হয়েছে। কী সর্বনাশটাই না করা হয়েছে দূর্ভাগা এ জাতির। আফসোস! কবিতার ছলে আরশের অধিপতির নামে এমন অশ্লীল শব্দের প্রয়োগ কি কোন সুস্থ বিবেকবান মানুষ করতে পারে! আস্তাগফিরুল্লাহ..
আমরা অত্যন্ত গভীরভাবে লক্ষ্য করছি— ইচ্ছাকৃতভাবে বারবার একটি কুচক্রী মহল— এদেশের ইসলামপ্রিয় মানুষদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অবমাননা করে, শান্তিপ্রিয় মুসলিমদের উসকানি দিতে চায়। শান্ত পরিবেশ ঘোলাটে করতে চায়। বিষয়টি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে বলে আমরা জোর আশঙ্কা প্রকাশ করছি। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় এসব দুষ্কৃতিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা চাই। ভবিষ্যতে কেউ যেন এহেন গর্হিত কাজ করবার দুঃসাহস না দেখায়, সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
সবচেয়ে বড় আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে— ধৈর্য্যের সীমা ছাড়ালে, মুসলিম জনতা আইন নিজ হাতে তুলে নিলে, পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলে আমরা মনে করি। তাই, বর্তমান সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই— অনতিবিলম্বে ধর্ম অবমাননা ও ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যকে হেয়-প্রতিপন্ন ও কটুক্তি নিরসণে কঠিন আইন জারি করুন। দেশের অধিকাংশ মানুষের মূল্যবোধ বিরোধী যে কোনো কাজ বাস্তবায়ন থেকে সরে আসুন। তাহলে আপামর জনগণের সমর্থন পাবেন। পাবেন অফুরান ভালোবাসা।
0 Comments